ওয়েব নিউজ,১০মে: তৃণমুল ও বিতর্ক যেন একে অপরের দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল নেতারা যেখানেই যাচ্ছেন কিছু-না-কিছু বিতর্ক তৈরি করে আনছেন। এমনই এক বিতর্কের সূত্রপাত হলো কাল বর্ধমানের ভাতারে।
গতকাল ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী। পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতেই রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছিল বাদ পড়েনি বর্ধমানের ভাতারও। রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। সেসময় তাকে দুটো লাইন বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আবেদন করেন রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান কমিটি। বক্তৃতা শুরু করার পর আচমকাই তিনি কবিগুরুর নোবেল চুরির প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বলেন কবিগুরুকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল। মানগোবিন্দ অধিকারীর বয়ান অনুযায়ী, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি হয়ে গিয়েছিল একটা কারণে, সেটা হল বিশ্ব কবি কে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল। সেই কারণেই বাংলার ছেলেরা সেই নোবেল চুরি করে নিয়েছে।”
তিনি শুধু এখানেই থামেননি বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করেএও বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছিল বলেই বিজেপি এখন সিবিআই সিবিআই করে লাফাচ্ছে। সিবিআই সেই নোবেল এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি। নোবেল উদ্ধারের জন্য বাংলা পুলিশকে লাগানো হয়েছে।পুলিশের তরফে সিবিআইকে বলা হয়েছে আপনারা সমস্ত তথ্য দিন আমরা সেটা বের করার চেষ্টা করব। এর সমাধান সিবিআইকে দিয়ে কখনো সম্ভব নয়।বিজেপি কর্মীরা যতই লাফায় কেন। আপনারা রবীন্দ্রনাথকে জানুন,তাকে চিনুন। নোয়াখালীর দাঙ্গার সময় রবীন্দ্রনাথ রাখি উৎসব চালু করেছিল। উনি হিন্দু মুসলমান বিভেদ মানতেন না।সেই কারণেই বিজেপি এত নাচছে।”
বাঙালির মনের গহনে রবীন্দ্রনাথ রয়েছেন।এতো বছর পরও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার জায়গার এতোটুকু বিচ্যুতি ঘটে নি। নোবেল চুরি বাঙালির হৃদয় ভঙ্গের এক রূপ। সেইখানে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য এবং সর্বোপরি ভুল তথ্য তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। চারদিকে বিষয়টি নিয়ে ছিছিক্কার। এই নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ও ছাড়েনি বিরোধী শিবির।