“এপাং-ঝাপাং, হাম্বা-সাম্বা লিখেই এই পুরস্কার! বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির অপমান” – মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
ওয়েব নিউজ, ১০ মে: ৯ মে ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। ১৬২তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছে বাংলা সাহিত্য একাডেমী। মুখ্যমন্ত্রী নিরলস সাহিত্যচর্চায় তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে বাংলা সাহিত্য একাডেমী। আর মমতা ব্যানার্জি এই পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তুমুল ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ-বিতর্ক.এবার এই পুরস্কার প্রাপ্তি কে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাকে শুধুমাত্র অবান্তর বলেই কটাক্ষ করেন নি, কবিতাগুলি মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লেখা নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত নিজের সমস্ত কাজ ও ব্যস্ততা সামলে নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সাহিত্যের প্রতি নিরলস পরিশ্রম ও প্রেম দেখেই পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য অ্যাকাডেমি থেকে বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। সোমবার ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা “কবিতাবিতান” বইটির জন্য এই বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপাং-ঝাপাং-বাপাং, হাম্বা-সাম্বা-গাম্বা লিখে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এটা কে লেখা আমি জানি।আমিও ওর ভিতরে ছিলাম। আসলে রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন এই পুরস্কার বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির অপমান। প্রভাব খাটিয়ে এই পুরস্কার তিনি অন্যদিকে নিতে পারতেন।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সব বিতর্ককে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যারা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলছেন তাদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা সাহিত্য অকাদেমি। সম্মানীয় সকল লেখকের সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম বর্ষের পুরস্কার পাচ্ছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা সবাই মিলে তাঁর নামই স্থির করেছেন।”
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে তৃনমূলের তরফ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।