ওয়েব নিউজ, ৮মে: চলছে বিয়ের মরশুম। বিয়েতে খরচ প্রচুর। বিয়ের পরে আবার রয়েছে হানিমুনের প্ল্যান!! অপরদিকে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। পেট্রোল ডিজেল সহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র এর দাম দিন দিন বাড়ছে।আর এই খরচ সামলাতে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তদের।
অন্য খরচ কম করার উপায় না জানাতে পারলেও মধুচন্দ্রিমা কম খরচে করার উপায় কিছু রয়েছে আমাদের কাছে। মোটামুটি জনপ্রতি ৬০০০ টাকার মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন হানিমুনের খোঁজ রইল।
দার্জিলিং: পাহাড়ের রানী দার্জিলিং বাঙ্গালীদের আবেগ ও ভালো লাগার জায়গা। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৯০ কিমি দূরে অবস্থিত। বাসে অথবা গাড়ি ভাড়া করে ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পৌঁছে যাওয়া যায়। দার্জিলিং এর টাইগার হিল,বাতাসিয়া লুপ, ঘুম, পদ্মজা নাইডু জুলজিক্যাল পার্ক এই সব জায়গা ঘোরার জন্য উপযুক্ত। এছাড়া ম্যাল এবং চা বাগান তো আছেই। গরমের ছুটিতে দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়া আর সে সময় থেকেই বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এই সময় তিস্তার জলে ভরা তরুণী রূপ দেখেই মন শান্ত হয়ে পড়ে। গরমে দার্জিলিংয়ের মত আরামদায়ক জায়গা হানিমুনের জন্য আর খুঁজে পাবেন না।তাছাড়া ঘোরার খরচ এখানে খুব কম।
ধরমশালা: হিমাচল প্রদেশের একটি সুন্দর শহর হল ধরমশালা। প্রচুর মঠ ও মন্দির থাকায় ধরমশালা সাধারণত একটি তীর্থক্ষেত্র। তবে ধর্মে মন না টানলে ধরমশালা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মেকলিয়ডগঞ্জএ পৌঁছে যান। সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য মন হরণ করবে আপনার। ধরমশালা থেকে ডাল লেক, ভাগসু জলপ্রপাত, ইন্দ্রধর পাস বেশ কাছে। এখানে রয়েছে দলাই লামার প্রশাসনিক দপ্তর। ভাগ্য থাকলে দর্শন পেতে পারেন দলাই লামারও। তাই বাজেট হানিমুনের মনের মধ্যে আদর্শ স্থান হতে পারে ধরমশালা।
আল্লেপ্পি: কেরালার আল্লেপ্পিকে বলা হয় প্রাচ্যের ভেনিস। ব্রিটিশ আমলে যে অত্যাধুনিক সাবেকি সাজে সজ্জিত ছিল শহরটি সেরকমই সচেতন নাগরিকদের কল্যাণে আজও সেই সৌন্দর্য অটুট রয়েছে আলিপির চারিদিকে সমুদ্র এবং রোদের ছড়াছড়ি জলাশয় গুলি অসম্ভব আর প্রতিটি নদী সমুদ্র প্রাকৃতিক অথবা কৃত্তিম ভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত শহরের স্থাপত্য ভাস্কর্য ভবনগুলি দেখলে ইতালির সুসজ্জিত শহরের কথাই মনে পড়বে। ঘুরে দেখতে পারেন ভেমবানার হ্রদ, আল্লেপ্পি বিচ,মারারি বিচ, আম্বালাপুঝা মন্দির, কারুমাদিকুটটন মূর্তি, সেন্ট মেরি রোরান চার্চ।আল্লেপ্পিতে গেলে থাকতেই হবে হাউস বোটে, না হলে অপূর্ন থেকে যাবে আল্লেপ্পি ভ্রমণ।
কোভালম: মধুচন্দ্রিমার ফোনে সমুদ্র সৈকতের জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে কেরালার কোভালাম সৈকত একবার ঘুরে আসুন, পরিচ্ছন্ন শান্ত সৈকত । লাইটহাউসের লাল সাদা আলো সৈকতের মন রাঙ্গিয়ে দেয়। সমুদ্র সৈকতের কাছে রয়েছে ভিঝিঞ্জাম জামা মসজিদ, সাগরিকা মেরিন একুরিয়াম। ত্রিবান্দম থেকে কোভালাম এর দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। আর এখানে আপনি পেয়ে যাবেন বহু কম বাজেটের হোটেল।
মুন্নার: কেরলের নাম শুনলেই সবার প্রথম মাথায় আসে মুন্নার এর কথা কেরলের যাবতীয় সৌন্দর্য নিয়ে যায় যেন এই একটি জায়গায় গিয়ে মিলিত হয়েছে থরে থরে সাজানো চা বাগান আর মেঘের রাশি দেখে শিহরণ জাগে কেরলে শৈল শহরটি মানিব্যাগের বেস্ট ফ্রেন্ড আকাশে বাতাসে যেন রোমান্স রোমান্স হানিমুনের জন্য বেস্ট ডেস্টিনেশন হল মুন্নার মোনালিসা দেখতে পারেন এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান, মাত্তুপেটি বাধ, ব্লসম পার্ক, লাইট অফ পাই, লক-হার্ট গ্যাপ প্রভৃতি। পরিচ্ছন্ন শহরের চারদিকে সবুজ আর সবুজ। মনের মানুষের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর উপযুক্ত পরিবেশ।