ওয়েব ডেস্ক, ১৭ এপ্রিল :- হস্তমৈথুন করার সময় শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ বছর কুড়ির এক যুবক। ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থ হয়ে সুইৎজারল্যান্ডের হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হতে হলো তাঁকে। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই সুইস নাগরিক জানিয়েছেন, ‘বিছানায় শুয়ে হস্তমৈথুন করার সময় শ্বাস নিয়ে সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।’ এই ঘটনাটি মেডিক্যাল জার্নাল রেডিওলজি কেস রিপোর্টেও প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শরীরের সব শক্তি প্রয়োগের ফলে ফুসফুস সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে ওই যুবকের। ফলে শ্বাসকষ্ট এবং প্রবল বুকে ব্যথা শুরু হয় ওই যুবকের। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় সপ্তাহখানেক সেখানেই রয়েছেন ওই যুবক। ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয় তাঁর। আর তাতেই ধরা পড়ে যুবকটি ‘স্পন্টেনিয়াস নিউমোমেডিয়াস্টিনাম’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের দাবি, জোরে হস্তমৈথুনের ফলে পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। মূলত এই সময় ফুসফুস থেকে বাতাস বেড়িয়ে পাঁজরে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে ঘাড় থেকে হাতের কনুই পর্যন্ত ভিতর থেকে অদ্ভুত কিছু শব্দ হয়। শারীরিক এই লক্ষণগুলি ছাড়াও মুখ ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। সুইস এই যুবকও এই রোগেই আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
চিকিৎসকদের দাবি, এই এসপিএম বা স্পন্টেনিয়াস নিউমোমেডিয়াস্টিনাম শিশুদের মধ্যে খুব বিরল দেখা গেলেও তরুণ বা যুবকদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, পাঁজরে আটকে যাওয়া বাতাস তাঁর পুরো শরীরে ছড়িয়ে গিয়েছে, এমনকী তাঁর মস্তিষ্কেও। চূড়ান্তভাবে যদি এটা হত তাহলে ওই ব্যক্তির ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। আপাতত যুবকটি স্থিতিশীল রয়েছেন।