ওয়েব ডেস্ক, ২২ এপ্রিল : বাংলায় ঘটেই চলেছে একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। হাঁসখালি থেকে নামখানা কিংবা মাটিয়া থেকে বোলপুরের মত এলাকায় পরপর নারী নির্যাতন থেকে যৌন হেনস্থা কাণ্ডে কোণঠাসা রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাবালিকারা যেভাবে নির্যাতিতা হচ্ছে, তাতে বর্তমানে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি তলানীতে গিয়ে ঠেকছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
গাইঘাটার বুকে পুনরায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। ঘটনায় এক বিজেপি নেত্রীর হাত রয়েছে, এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্যও উঠে এসেছে।
বর্তমানে হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এরই মাঝে একের পর এক এলাকা থেকে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বিশেষ করে বিজেপি দল রাজ্য সরকারের ওপর একের পর এক আক্রমণ করে চলেছে। তবে গাইঘাটা নামক অঞ্চল থেকে বর্তমানে যে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে উল্টে এক বিজেপি নেত্রীর জড়িয়ে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় থানার পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেই বিজেপি নেত্রী সহ 4 জনকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্রের খবর, মাত্র 15 বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ক্যামেরা দেখানোর নাম করে এক যুবক নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে, জোর করে ধর্ষণ করে বেশ কয়েকজন মিলে । এক্ষেত্রে নাবালিকাটি নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলে, তার মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়, যাতে চিৎকার বাইরে না যায় এবং তৎক্ষনাৎ ঘরের ভিতর তীব্র স্বরে মিউজিক চালিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই পুরো ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পূর্ণিমা সরকারের নাম সামনে উঠে এসেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, একটি ক্যামেরা দেখানোর বাহানা দিয়ে নাবালিকাকে তার পাশের এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবেশী বাড়িটি হলো ওই বিজেপি নেত্রী পূর্ণিমা সরকারের। এরপর কিশোরীর বাবা তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাইরে বের হয় এবং হঠাৎ পূর্ণিমাদেবীর বাড়ি থেকে তীব্র শব্দের মিউজিক শুনতে পেয়ে প্রথমে তার সন্দেহ হয়। এরপর সন্দেহের বশেই বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে নিজের মেয়ের সঙ্গে এক যুবকের আপত্তিজনক দৃশ্য তার চোখে পড়ে। এরপর নাবালিকাটি সব ঘটনা খুলে বলার পর পুলিশের কাছে তারা ধর্ষণের অভিযোগ জানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ণিমা সরকার সহ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্ণিমা দেবী ছাড়া বাকি তিনজন হলেন অর্পণ সরকার, বাসুদেব বিশ্বাস এবং শুভঙ্কর মিস্ত্রি। আরো জানা যায়, শেষের দুই ব্যক্তি কিছুদিন আগেই নবদ্বীপের কানাইনগর দক্ষিণপাড়া থেকে পূর্ণিমা দেবীর বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় । তারা চারজন মিলেই এদিন নাবালিকাটির উপর জোর করে ধর্ষণ চালায় বলে অভিযোগ।