ওয়েব নিউজ,১১মে: সম্প্রতি গেল মাতৃদিবস।নারী এমন একটি চরিত্র যার মধ্যে মা থেকে কন্যা প্রায় সব রকম সম্পর্কের অবদান রয়েছে প্রতিটি মানুষের জীবনে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে দেশ তথা রাজ্যের দিকে তাকালে নারী সুরক্ষা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। সম্প্রতি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লোকসভায় বলেছিলেন, নারী ও শিশুকে রক্ষা করা কর্তব্য কিন্তু সব পুরুষই ধর্ষক নয়।
আবার গত ৩১ জানুয়ারি এডভোকেট করুণা নন্দী বলেছিলেন,মহিলাদেরও না বলার অধিকার রয়েছে। জোর করে সঙ্গম করার চেষ্টা করলে তা না করার অধিকার রয়েছে মহিলাদের। এবার বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গেই কিছু বিভাজিত রায় দিল হাইকোর্ট।
মেরিটাল রেপ সম্পর্কে একটি বচসা চলে এসছে বহু দিন ধরেই। বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধমূলক কাজ কিনা তা নিয়ে বারবার রাজ্যের বিভিন্ন হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। এবার দিল্লি হাইকোর্টে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিধা বিভক্ত রায় ঘোষিত হল। ৩৭৫ ধারা ২ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ এসেছে শুনানিতে। সেখানে বলা হয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়, যদি না স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হয়।
৭ ই ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের অবস্থান জানানোর জন্য কেন্দ্রকে ১৫ দিন সময় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু কেন্দ্র তার অবস্থান জানাতে পারেনি। উপরন্তু আবার কিছু দিনের সময় চেয়ে নেয় কেন্দ্র। শেষ অবধি কেন্দ্র কোন মতামত না দিয়ে দু নৌকায় পা দিয়ে চলেছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছ থেকে তারা মতামত নিয়ে এই বিষয়ে জানাবে। গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি কার্যত দুই বিচারপতির বেঞ্চ থেকে রায় পাওয়া যায়নি।
বিচারপতি রাজীব শকধের জানিয়েছেন, আর্টিকেল ৩৭৫ সংবিধানের ধারা মানছে না। অন্যদিকে জাস্টিস শ্রী হরিশংকর সেকশন ৩৭৬বি ও ১৯৮বি -র কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এটি কোন আইন ভাঙছে না। এটি ঠিকই আছে। তবে আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।
যদিও ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার বৈবাহিক ধর্ষণের বিরোধীতা করে বলেছে, আমাদের দেশ সবকিছু ব্যাপারেই পাশ্চাত্য দেশ কে অনুসরণ করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলার আগে আরো অনেকগুলি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরী।