ওয়েব নিউজ,১০ মে: বেশ কয়েক মাস ধরেই শ্রীলংকা অর্থনীতি সংকটে ডুবেছিল। তেল রান্নার গ্যাস এমনকি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুলি দাম ক্রমশ বেড়েই চলছিল। খাদ্য ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল দেশের জনগণ। এর ফলে তারা দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে। বিক্ষোভের সামনে মাথা নোয়ায় গোটা মন্ত্রিসভা, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কোনমতেই ইস্তফা দেন নি রাজাপক্ষে। অবশেষে জনগণের আন্দোলনের সামনে হার মেনে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
সম্প্রতি গোটা শ্রীলংকা জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এপ্রিল মাসে প্রথমবার জরুরি অবস্থা জারির পর সেটা কিছুদিন পর তুলে নেওয়া হয়। এপ্রিল মাসের জরুরি অবস্থা তুলে নিতেই বেশকিছু পড়ুয়ারা সংসদের বাইরে আন্দোলন শুরু করে। তাদের আন্দোলন এতটাই তীব্র ছিল যে পুলিশ প্রশাসনকে গিয়ে সেখানে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুটতে হয়।কিন্তু তাদের দমানো যায়নি।তাদের এইসব কারণে রাজাপক্ষে ফের মে মাসে জরুরি অবস্থা জারি করেন।কিন্তু সেই জরুরি অবস্থাতেও দেশের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারা।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায় দেশের এই বিশৃঙ্খল অবস্থাকে রুখতে শ্রীলংকার পদুজানা পেরামুনা পার্টির নেতৃত্বে সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অনেকক্ষণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই দাবি ওঠে রাজাপক্ষে ইস্তফা দেওয়ার। কোনো রকম পথ খোলা না থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই রাজাপক্ষ কে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়।