মালদা, ৪ঠা এপ্রিল: চাঁচল পুরসভা গঠনের ঘোষণা হয়েছে দীর্ঘদিন আগেই । যার ফলে উন্নয়নমূলক পরিকাঠামো কাজ শুরু হয়েছে, এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের। কিন্তু চাঁচল শহরের কদলারমাঠ পাড়া এলাকার কয়েকশো মানুষকে এখনো অন্ধকারের মধ্যেই জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এমনকি অ-পরিশ্রুত নলকূপের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। রাস্তার সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের।
দীর্ঘদিন ধরে চাঁচল ১ ব্লকের কদলারমাঠ পাড়া এলাকায় কোন উন্নয়ন হয় নি বলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর এ নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।
চাঁচল মহকুমার চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কদলার মাঠপাড়া এলাকাটি। চাঁচল কলেজের পিছন দিকে বিশাল সরকারি জায়গায় গড়ে উঠছে মহাকুমা সংশোধনাগার । আর তার পাশেই রয়েছে কদলার মাঠপাড়া এলাকা। যেখানে প্রায় ৩০০ মানুষ বসবাস করেন। দিনমজুরি , মাছ ধরা , বিড়ি বাধা কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রামের একাংশ মানুষ। কিন্তু এই গ্রামে আজকের দিনে পৌছায়নি বিদ্যুৎ , নেই পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে বাসিন্দাদের।
স্থানীয় গ্রামবাসী ভারতী দাস, অর্চনা প্রামানিকদের বক্তব্য, একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি। এটা মানুষকে বলতে লজ্জাবোধ করি। বিদ্যুতের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে। কেরোসিন তেলের দাম বাড়লেও কুপি, লন্ঠন ভরসা। বেহাল রাস্তার জন্য চলাচল করতে গিয়েও দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের । নলকূপের আয়রনযুক্ত জল ব্যবহার করতে হচ্ছে আমাদের। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের কাছে সার্বিক উন্নয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতেশ পান্ডে জানিয়েছেন , ওই এলাকায় বেশকিছু অস্থায়ী বসতি গড়ে উঠেছে । তবে সব সমস্যার সমাধান ধীরে ধীরে করা হচ্ছে।
চাঁচলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন , এতদিন এই এলাকায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন । জানি না উনি কি করেছেন। আমি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচিত হয়েছি। সকল সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।