মালদা , ৩০ এপ্রিল : প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে ২ মে থেকে সমস্ত স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার । আর তারই জেরে এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মালদা ফুটপাতে থাকা বই বিক্রেতারা । যাদের একমাত্র ভরসা স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের বই বিক্রি করে রোজগার করা । মালদা শহরের শুভঙ্কর শিশু উদ্যান এবং আদালত চত্বর এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৩০টিরও বেশী অস্থায়ী ফুটপাতের দোকান। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা ফুটপাতের বিক্রেতার কাছ থেকে পুরোনো বই কিনে থাকেন । অনেকেই স্কুলের নতুন সিলেবাস নিয়েও এখান থেকে কম দামে বই সংগ্রহ করেন। কিন্তু আচমকাই বিভিন্ন স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি জারি করাতেই সমস্যায় পড়েছেন মালদা শহরের ফুটপাতে থাকা অস্থায়ী বইয়ের দোকানিরা। তাঁদের বক্তব্য, দিনে অন্তত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রোজগার হতো। কিন্তু দেড় মাস গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ফলে এখন স্কুলের ছেলেমেয়েদের বই কেনার ক্ষেত্রে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যাবে না। তাই এই ব্যবসায়ী রীতিমতো ভাঁটা পড়বে।
জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে রয়েছে শুভঙ্কর শিশু উদ্যান এবং আদালত। সেইসব এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৩০ টিরও বেশী অস্থায়ী বইয়ের দোকান। ওইসব দোকানিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে নানান ধরনের পড়ার বই সংগ্রহ করে থাকেন। এবং সেগুলি হাফ দামে পড়ুয়াদের কাছে বিক্রি করেন । এতে যেমন করে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সস্তায় বই পেয়ে উপকৃত হন। ঠিক তেমনভাবেই বই বিক্রেতারা রুজি-রোজগারের নতুন করে পথ খুঁজে পেয়েছেন।
ওই এলাকার খুচরা বিক্রেতা স্বপন মন্ডল, রাম রায়দের বক্তব্য, আমরা জানি প্রচণ্ড গরম পড়েছে। সেই গরমের মধ্যে দাবদাহে পেরিয়ে আমাদের বেচাকেনা করতে হয়। কিন্তু হঠাৎ করে রাজ্য সরকার ২ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত দেড়মাস স্কুলগুলিতে গরমের ছুটির নির্দেশ জারি করেছে । এর ফলে আমাদের বেচাকেনায় একেবারে ভাঁটা পড়ে গেল । এখন এই দেড় মাস রুজি-রোজগার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে। তবে সরকারের নির্দেশ ঠিকই রয়েছে। কারণ, এত গরমে পড়ুয়াদের পক্ষে স্কুল করা সম্ভব নয় । তবে আমাদের মতো ফুটপাত বই বিক্রেতাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত প্রশাসনের।