ওয়েব নিউজ, ১৬এপ্রিল:- ত্রিপুরা সীমান্তে ধরা পরলো বাংলাদেশি নাবালক। কীভাবে সেই শিশু ধরা পরলো সেই কারণ শুনে অবাক হয়ে গেছেন সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী নাবালককে আটক করা হয়েছে। এদিন সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর তরফে এই খবর জানানো হয়।
জানা গিয়েছে যে, ইমাম হোসেন নামে ওই কিশোর বাংলাদেশের শালদা নদীর তীরে অবস্থিত একটি গ্ৰামের বাসিন্দা, তবে সে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলায় তার প্রিয় চকোলেট কিনতে নিয়মিত নদী পার হয়ে ভারতে আসতো। ওই অঞ্চলে শালদা নদীই উভয় দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর বক্তব্য ‘ওই কিশোর কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যেকার একটি ফাঁক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে তার প্রিয় চকোলেট কিনে আবার সেই পথে ফিরে যেতো বাংলাদেশে’।
হোসেনের এই দুঃসাহসী পদক্ষেপের অবসান ঘটে ১৩ এপ্রিল, যখন সে বি.এস.এফ(BSF) বা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে ধরা পরে। তাকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় গ্ৰেপ্তার করে বিএসএফ। সোনামুড়ার এসডিপিও(SDPO) বনোজ বিপ্লব দাস জানান ‘ছেলেটিকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে’। তিনি আরও জানান ‘ছেলেটিকে ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত’। ছেলেটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। ছেলেটির কাছ থেকে বাংলাদেশি ১০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। সন্দেহজনক কিছু না পাওয়া গেলেও ভারতে প্রবেশের বৈধ কাগজ-পত্র না থাকার কারণে তাকে আটক করা হয়। যদিও বাংলাদেশে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সোনামুড়া মহকুমার অনেক স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বেড়া দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই অনেক বাংলাদেশিই ভারতের সীমানা পেরিয়ে মুদির দোকানে এসে পন্য কিনে নিয়ে যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।