জলপাইগুড়ি, ১৯ এপ্রিল : ময়নাগুড়ির নাবালিকা নির্যাতন কান্ডে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে এই মামলায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ” অজয় রায় ও বিজয় রায়কে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার রাতে অবিনাশ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। মঙ্গলবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের কাছে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। ”
অন্যদিকে, ধৃতরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন,” আইনকে প্রভাবিত করতেই ধৃতরা তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করতে পারে। দলের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ নেই। আমরা এই ঘটনায় পুলিশের কাছে সাফ জানিয়েছি কোনও অভিযুক্তরা যেন পার না পায়।” অন্যদিকে, নাবালিকার শারীরিক অবস্থার এখনও তেমন উন্নতি হয়নি বলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর। এই প্রসঙ্গে শিবশঙ্কর দত্ত বলেন,” আমরা নাবালিকার পাশে আছি। নাবালিকার মনের জোর যথেষ্টই। আমাকেও বলেছে কাকু অভিযুক্তদের যেন ফাঁসি হয়। আমি পড়াশোনা করে আইনজীবী হতে চাই।”
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব শ্যাম প্রসাদ বলেন, ” অভিযুক্তরা যেখানে নিজেরাই বলছে যে তারা তৃণমূল কর্মী। তারপর তো আর কিছু বলার থাকে না। তৃণমূল নেতৃত্বরা দলকে বাঁচাতেই অভিযুক্তদের দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ। এই মামলা হাইকোর্টেও উঠেছে। যে কোনও দিন হয় তো সিবিআই তদন্ত শুরু হতে পারে।”
ধৃত অজয় রায় ও বিজয় রায়ের সঙ্গেই এদিন নাবালিকা নির্যাতন কান্ডে আরও এক অভিযুক্ত অবিনাশ রাযকে পুলিশ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করে। অবিনাশ সম্পর্কে অজয় ও বিজয়ের কাকা বলে দাবি পুলিশের। সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত তিন জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।” অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিজিত সরকার বলেন, ” এই মামলায় অভিযুক্তদের কেন পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। যারা নাবালিকাকে হুমকি দিয়েছিল তাদের পরিচয় নাবালিকা জানাতে পারেননি। অভিযুক্ত অবিনাশ রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল তা পুলিশ বলতে পারবে। “